বরগুনার বেতাগীতে যুবলীগ নেতা মো. টুটুল খানকে কুপিয়ে আঙুল বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে সদ্য বহিষ্কৃত হওয়া বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে টুটুল খানের দুই পা ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাকাপুল নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
তবে এ অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা রফিক।
মো. টুটুল খান বেতাগী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আহত যুবলীগ নেতার ভাই জসিম খান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, টুটুল বর্তমানে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে পুলিশ বলছেন ঘটনার পরপরই রফিক ও তার সমর্থকদের গ্রেফতারে বেতাগী থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
জসিম খান বলেন, টুটুল তার শ্বশুরবাড়ি এলাকায় জরুরি কাজে গেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি পদ থেকে সদ্য বহিষ্কার হওয়া রফিক ও তার সমর্থকরা অতর্কিত হামলা করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে একটি হাতের বেশ কয়েকটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন ও দুই পা ক্ষত-বিক্ষত করে। হামলার ঘটনার সময় টুটুল একাই ছিল, আর রফিকের সঙ্গে ছিল ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত। পরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে টুটুল ঘটনার বিবৃতি দিতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পরে। তাকে চিকিৎসা দিতে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসক জানিয়েছেন প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এদিকে ওই ছাত্রলীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, কে বা কারা এ হামলা করেছেন তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত তিনি পারিবারিক কাজে এলাকার বাহিরে আছেন।
বেতাগী থানার ওসি মো.আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকা সবাইকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।